শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায়

ত্বক ফর্সা হোক বা শ্যামলা  প্রতিটি  ত্বকই সুন্দর   তবে অনেকেই নিজের ত্বকের  রং একটু উজ্জ্বল কোমল ও দাগহীন দেখাতে চান । যদি আপনি শ্যামলা ফর্সা করার  প্রাকৃতিক উপায়   খুঁজেন তবে এই টিপসগুলো আপনার জন্য ।ত্বক ফর্সা করার জন্য লেবু ও টক দইয়ের প্যাক ,বেসন ও হলুদের প্যাক বা মধু ,কলা ও দুধের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে  ।পাশাপাশি  প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা পর্যাপ্ত ঘুম এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বকের রক্ষা করার মাধ্যামে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো সম্ভব ।

শ্যামলা ত্বকের পরিচর্যায় ঘরোয়া নানা জিনিস  ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে হলুদ ও মধুর ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । ত্বক চকচকে করে হলুদ ব্যবহার করলে  ।বাজারে চলতি ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করবেন না তার বদলে ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া উপাদান। হলুদে আছে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান ।  যা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট  হিসেবে কাজ করে । কিন্তু অনেকেই মনে করেন ত্বক চর্চার ক্ষেত্রের কাঁচা হলুদ  ব্যবহার করাই ভালো । কিন্তু ত্বক বিশেষজ্ঞদের  মতে কাঁচা হলুদ হাতের কাছে মজুদ না থাকলে ও গুড়ো হলুদ দিয়েও  কিন্তু একই ভাবে ত্বকের পরিচর্যা করা যেতে পারে ।


পেজের সূচিপত্রঃ


প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় কি ?
প্রথমে একটি বাটিতে এক চামচ চিনি নিন এতে হাফ চামচ হলুদগুড়ো  এ দুটি উপাদান একটু মিমিয়ে নিন সাথে একটু লেবু দিলে ভালো হয় । চিনি ত্বক থেকে মৃতকোষ দুর করে ত্বককে উজ্জল ,ফর্সা ও নরম করে তুলে । রোদে পোড়া দাগ ও বয়সের ছাপ  দুর করতে চিনি অনেক ভালো কাজ করে  ।প্রাচীনকাল থেকে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে । এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বক থেকে ব্রণ দুর করতে সাহায্য করে ।লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ যা ত্বককে দ্রুত ফর্সা করতে সাহায্য করে ।

প্রাকৃতিক প্যাক তৈরি ওব্যবহার 
লেবু ,মধু ও দুধের প্যাক : কাঁচা দুধ , মধু ও লেবুর রস মিশে একটি প্যাক তৈরি করুন এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ে ।

হলুদও শসার প্যাক : শসার রসের সাথে হলুদ গুঁড়ো ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এটি ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জল করতে সাহায্য করে ।

বেসন ও দুধের প্যাক : বেসন , লেবুর রস ও দুধ মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন । মুখে লাগিয়ে 15 মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।

ত্বক পরিষ্কার রাখা : ভালো মানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করে  নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করুন এবং ত্বকের ।

পর্যাপ্ত ঘুম : নিয়মিত ও পরিমিত ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

অ্যালোভেরা : এলোভেরার জুস ভিটামিন ওখনিজ পদার্থে ভরপুর যা ত্বকের জন্য উপকারী ।

আলুর রস: ফর্সা করার জন্য প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে আলুর ব্যবহার প্রাচীন ও ক্যাটেকোলেজ কালো দাগও পিগমেন্টেশন দূর করতে সাহায্য করে । এটি একটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং যা ত্বককে সুন্দর রাখে ।

প্রাকৃতিক ফেস মাস্ক : ডিমের সাদা অংশ লেবুর রস ও দুধ বা দই এর মত প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করা যেতে পারে । 

ভেতর থেকে ফর্সা করে
ভেতর  থেকে ত্বক ফর্সা ওউজ্জল করতে পুষ্টিকর  খাবার খাওয়া পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা জরুরী । অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন বেরি ,পালংশাক ,কমলালেবু ও লেবু খেলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উজ্জ্বলতা বাড়ে ।এছাড়া ওমেগা-৩ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার যেমন আখরোট ত্বককে সুস্থ রাখে ও সুরক্ষা দেয় । ভিটামিন সি যুক্ত খাবার ত্বকের দাগ ও শুষ্কতা দূর করে । ত্বক পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে পারে মধু এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান ।বহু ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে এতে ।যা মিলে ত্বক থেকে জীবানু দুর করে আবার ত্বক আদ্র করে ।

মধু ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং পেঁপেতে কিছু এনজাইম রয়েছে যা ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করতে সাহায্য করে  । এবং আপনার ত্বককে গভীর ভাবে পরিষ্কার করে ।
উপকরণ: 
  • ১কাপ পেঁপের টুকরা
  • মধু ২ টেবিল চামচ  
ত্বক ফর্সা করার কোন ভিটামিন আছে কি
ত্বক ফর্সা করার জন্য ভিটামিন সি অত্যান্ত কার্যকরী । নিয়মিত ভিটামিন সি সিরাম মাখলে এটি তত্ত্ব কে ফর্সা উজ্জ্বল করে তোলো । পাশাপাশি ত্বককে টানটান করে তোলে  ।এবং অকাল বার্ধক্যকে প্রতিরোধ  করে ভিটামিন সি ত্বকের  উপর শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে  । সূর্যের  ইউভি রশ্নির কারণে ত্বকে যে ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিকেল উৎপন্ন হয়। তার বিরুদ্ধে লড়াই করে এটি ।এটি কোলাজেন উৎপাদনকে উৎসাহিত করে সুক্ষ্ম রেখার উপস্থিতি কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের  চামড়া উজ্জ্বল করে ।

অল্প সময়ে ত্বক উজ্জল করতে কলার কোন কোনও বিকল্প নেই ।তার সাথে যদি দুধকে কাজে লাগানো যায় তাহলে তো কোন কথাই নেই ।  িএকটা কলাকে চটকে নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে । তবে খেয়াল রাখবেন পেষ্টটা যেন একেবারে মিহি হয়ে যায় । তাহলে অনেক ভালো কাজে দিবে । 

মসুর ডাল ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে  সাহায্য করে । মসুর ডাল কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে । ভেজা মসুর ডাল বেটে একটি ঘন পেষ্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নিন । শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে দিন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন  ।মুখে ডাল দিয়ে কথা না বলাই ভালো মুখে ডাল শুকিয়ে যাওয়ার পর কথা বললে মুখের চামড়ায় চাপ লাগতে পারে ।


গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ : বাজারের  প্রচলিত ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন কারণ ওগুলিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে ।

উপসংহার
ত্বকের রং যেমনই হোক আত্মবিশ্বাসীই আসল সুন্দর্য  ।তবে যদি আপনি শ্যামলা ত্বক একটু উজ্জ্বল করতে চান তাহলে উপরোক্ত ঘরে উপায় গুলো নিয়ম করে অনুসরণ করুন  ।মনে রাখবেন ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক  পন্থা সব সময় নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী ফল দিয়ে থাকে ।

মতামত 
প্রাকৃতিক উপায়ে উজ্জ্বল করতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে । এবং নিয়মিত চর্চা করতে হবে ফর্সা হওয়ার জন্য রাতারাতির ফল আশা করা ঠিক নয়  । তবে নিয়মিত যত্ন নিলে আপনি ত্বকের টোনে পরিবর্তন যেমন দেখতে পাবেন তেমনি ত্বক হবে  আরো স্বাস্থ্যবান ও গ্লোয়িং ।


আমাদের আজকের ব্লগটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অনুগ্রহ করে এটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করুন । আপনার বন্ধুদের ও জানার সুযোগ করে দিন । এছাড়াও আপনি পরবর্তীতে কোন বিষয়ে ব্লগ পড়তে চান তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন । আপনাদের মতামত আমাদের পরবর্তী কনটেন্ট তৈরি করতেও লিখতে অনুপ্রেরণা যোগাবে ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সফটনোরি আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url