কালোজিরার তেল ও মধু খাওয়ার উপকারিতা

 

বর্তমান ব্যস্ত জীবনে শরীর ও মনের সুস্থতা বজায় রাখা অনেকটাই  চ্যালেঞ্জিং । প্রাকৃতিক উপাদান গুলোর মধ্যে এমন কিছু আছ ,যে গুলোর উপকারিতা যুগের পর যুগ ধরে প্রমাণিত । তেমনি দুটি শক্তিশালি প্রাকৃতিক উপাদান হচ্ছে কালোজিরার তেল এবং খাঁটি মধু । এক সাথে দুটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ে তেমনি অনেক জটিল সমস্যার ও সমধান হয় সহজে ।      

 

মধু ওকালোজিরা একটি প্রাকৃতিক খাদ্য এবং ্ঔষধি গুণসম্পন্ন উপাদান । এটি শুধু প্রাকৃতিক খাবার নয় বরং স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত উপকারি । কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই  জানেনা যে এ দুটো খাবারই নিয়মিত খাওয়া কতটা উপকার । যারা নিয়মিত খায় তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ নানা উপকার হয় । কালোজিরার তেল ও মধুর মিথস্ক্রিয়া এর গুণাবলি বলে শেষ করা যাবে না ।

পেজ সূচিপত্রঃ


কালোজিরার তেল ও মধুর উপকারিতা 

কালোজিরার তেল মধু দুটোই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপদান । নিয়মিত এই সংমিশ্রণ খেলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয় ফলে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া  সংক্রমণের ঝুকি কমে যায় । খাবারের পরে এক চা চামচ মধু ও  কয়েক ফোটা কালোজিরার  তেল খেলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয় । এটি গ্যাসিাটক ,অ্যাসিডিটি ও বদহজমে কার্যকর 

উচ্চ রক্তচাপ ও স্মৃতিশক্তি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক 

কালোজিরা প্রাকৃতিক ভাবে রক্তচাপ  কমাতে সাহায্য করে । প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরার সাথে মধু সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রেণে থাকে । কালোজিরা ও মধুতে থাকা নিউট্রিয়েন্টস মস্তিষ্কের কর্মক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে । ছাত্র ছাত্রিদের জন্য এটি বিশেষ ভাবে বেশি উ্পকার হতে পারে । 

ত্বক চুল ও স্বাস্থের জন্য ভালো 

শীতকালে ত্বকের আদ্রতার জন্য বডি লোশনের পরিবর্তে শুধু কালোজিরার তেল সারা শরীরে মালিস করুন যা আপনাকে  এবং আপনার শিশুর ত্বককে রাখবে আদ্র ও লাবন্যময় এবং চর্মরোগের ঝুকি কমাবে । বিশেষ ভাবে শিশুর ত্বকের জন্য এই পদ্ধতিটি  সারা বছর ব্যবহার করা যাবে ।  স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবশ্যই মধু খাওয়া অত্যন্ত জরুরি । কালোজিরার তেল নিয়মিত  চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া কমায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে । 

সর্দি কাশি গলা ব্যথা জখম পুড়ে যাওয়া ও হার্টের জন্য উপকার 

এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে  দৈনিক ৩ বার খেতে হবে তাহরে সর্দি থেকে অনেকটাই আরাম পাওয়া যাবে । গরম পানিতে মধু ও লেবু মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা ,কাশি ও ঠান্ডার উপশম হয় । মধু  রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL)  কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টেরর  (LDL)বাড়ায় যা হৃদরোগের ঝুকি কমায় । জখম পুড়ে যাওয়া ঘায়ে তেল অথবা মধু ব্যবহার করুন । মধু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণের কারণে এইটি ছোটখাটো ও কাটাছেঁড়া ওপোড়া জায়গায় ব্যবহার করা হয় দ্রুত আরোগ্যের জন্য । 

কালোজিরার তেল ওমধু খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি 

(সময় পরিমান কিভাবে খাবেন) সকালে খালি পেটে ১ চা চামচ মধু ৫-৭ ফোঁটা কালোজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে সরাসরি খাওয়া । রাতে ঘুমের আগে ১ চা চামচ মধু ও ৩-৫ ফোঁটা কালোজিরার তেল পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন ।  খাঁটি মধু ও বিশুদ্ধ  কালোজিরার তেল ব্যবহার নিশ্চিত করুন । ভেজার পণ্য উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে । ডায়াবেটিক রোগীরা মধু খাওয়ার আগে রক্তের শর্করা র মাত্রা যাচাই করুন । 

এ সম্পর্কে হাদিসে যা বলা হয়েছে

মহানবী (সঃ) বলে গেছেন ,মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহৌষধ  কালোজিরা। হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন যখন রোগ যন্ত্রণা খুব বেশি কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে তারপর পানি ও মধু সেবন করবে । 

শেষ কথা

কালোজিরার তেল ও মধু একসঙ্গে সেবন করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো স্মৃতি শক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করা  হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা ওজন হ্রাস এবং চুল ও ত্বকের যত্নে উপকার পাওয়া যায় এটি অ্যাসিডিটি অ্যাজমা এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে । কালোজিরা ও মধু উভয়ই স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী খাবার ।

আমার মতামত

শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয় , আয়ুর্বেদিক কবিরাজি চিকিৎসাতেও কালোজিরা ব্যবহার হয় কালোজিরার বীজ থেকে এক ধরনের তেল তৈরি হয়। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এছাড়াও কালোজিরা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মানব দেহকে রক্ষা করে । আমরা যেন প্রতিনিয়ত কালোজিরা কালোজিরার তেল ও মধু সেবন করি যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখবে ।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সফটনোরি আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url